আলবেয়ার কামু
কামু আলজেরিয়ার মন্দোভিতে জন্মগ্রহণ করেন। তার শৈশব দারিদ্র্যের মধ্যে কাটলেও নিরানন্দ ছিল না। তিনি আলজিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন নিয়ে পড়াশোনা করেন এবং পরে সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন। একই সাথে তিনি "তেয়াত্র্ দ্য লেকিপ" (Théâtre de l'équipe) নামে একটি তারুণ্যনির্ভর প্রগতিবাদী নাট্যদল সংগঠন করেন। তার প্রথমদিককার প্রবন্ধগুলি লঁভের্স এ লঁদ্রোয়া (L'Envers et l'endroit "অশুদ্ধ পক্ষ এবং শুদ্ধ পক্ষ", ইংরেজিতে The Wrong Side and the Right Side) এবং নস (Noces "পরিণয়গুচ্ছ", ইংরেজিতে Nuptials) গ্রন্থগুলিতে সংকলিত করা হয়। তিনি প্যারিসে যান এবং আলজেরিয়ায় প্রত্যাবর্তনের পূর্বে সেখানে পারি সোয়ার (Paris Soir) নামক দৈনিক পত্রিকাতে কিছুকাল কাজ করেন। তার লেখা নাটক কালিগুলা (Caligula) ১৯৩৯ সালে প্রকাশিত হয়। তার শুরুর দিককার দুটি উল্লেখযোগ্য বই,
লেত্রঁজে (L'Étranger "দ্বাদশ ব্যক্তি", ইংরেজিতে The Outsider)
এবং ল্য মিথ দ্য সিজিফ (Le Mythe de Sisyphe, ইংরেজিতে The Myth of Sisyphus')
প্রকাশিত হয় তিনি আবারও প্যারিসে পাড়ি জমাবার পর।
আলবেয়ার কামু
১৯৪১ সালে জার্মানি যখন ফ্রান্স দখল করে নেয়, সেইসময় তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন (Resistance movement)-এর একজন পুরোধা বুদ্ধিজীবী হয়ে ওঠেন। তিনি গুপ্ত পত্রিকা কোঁবা (Combat "লড়াই") প্রতিষ্ঠা করতে সাহায্য করেন এবং এটিতে লেখা দেয়া ও সম্পাদনার কাজও করেন। যুদ্ধপরবর্তী সময়ে তিনি লেখালেখিতে আত্মনিয়োগ করেন এবং লা পেস্ত (La Peste, ইংরেজিতে The Plague) (১৯৪৭), লে জুস্ত (Les Justes, ইংরেজিতে The Just) (১৯৪৯) ও লা শুত (La Chute, ইংরেজিতে The Fall) (১৯৫৬)-এর মত বই লিখে আন্তর্জাতিক খ্যাতি লাভ করেন। পঞ্চাশের দশকের শেষার্ধে নাট্যশালার প্রতি কামুর ভালোবাসা সক্রিয়তা পায়। এসময় তিনি উইলিয়াম ফকনার-এর 'জনৈকা সন্ন্যাসিনীর মৃত্যুতে প্রার্থনা' (Requiem for a Nun) এবং দস্তয়েভ্স্কির 'অধিকৃত' (The Possessed)-এর মঞ্চ সংস্করণ রচনা করেন এবং নাটকগুলির নির্দেশনার দায়িত্বও পালন করেন।
তিনি ১৯৫৭ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান। সবচেয়ে কম বয়সে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের মধ্যে রাড্ইয়ার্ড কিপলিং-এর পর পরই তার অবস্থান।
তিনি ১৯৬০ সালে এক সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন।